মাঝে ১৫ দিন দেশের মাটিতে এসে নিবিড় অনুশীলন করে গেছেন। বিকেএসপিতে দুই গুরু নাজমুল আবেদিন ফাহিম আর মোহাম্মদ সালাউদ্দীনের অধীনে টানা প্র্যাকটিস করেছেন।
সেটা ছিল মাঠে ফেরার আগের প্রস্তুতি। সাকিব এমনি এমনি অমন অনুশীলন করেননি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯ অক্টোবর শাস্তিমুক্ত হয়ে যাচ্ছেন ‘চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার।’
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসেব কষলে আর মাত্র এক সপ্তাহ পরই মুক্ত হচ্ছেন সাকিব। বিকেএসপিতে অনুশীলন শেষে আবার যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গিয়ে কি করছেন সাকিব? কবে ফিরছেন দেশে? জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সাথে কথাবার্তা হয়েছে কি না? জানার আগ্রহ সবার।
রাসেল ডোমিঙ্গো বৃহস্পতিবার আজ তা জানিয়েও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সাকিবের সাথে যোগাযোগ আছে তার এবং সাকিব নিজের ফিটনেস ফিরে পেতে খুব সিরিয়াস। ডোমিঙ্গো বলেন, ‘সবার জানা সে এখন দেশের বাইরে। তবে আমার সাথে গতকাল বুধবারও কথা হয়েছে সাকিবের। সে দেশের বাইরে থাকলেও কঠোর পরিশ্রম করছে।’
সাকিব এক বছর মাঠের বাইরে থেকে ফিরেই জাদুকরী কিছু করে ফেলবেন, এমনটা আশা করছেন না ডোমিঙ্গো। বরং আর দশজন ক্রিকেটারের মতো সাকিবেরও মানিয়ে নিতে সময় লাগবে, মনে করেন হেড কোচ।
তাই সাকিবকে আরও কিছু সময় দেয়ার পক্ষে জাতীয় দলের প্রোটিয়া কোচ। সাকিবের ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু তারও ছন্দ ফিরে পেতে সময়ের দরকার। একা একা প্র্যাকটিস করা, বোলিং মেশিনে ব্যাটিং করা, থ্রোয়ারে ছুড়ে দেয়া বলের বিপক্ষে ব্যাটিং অনুশীলন আর মাঠে গিয়ে চাপের মুখে ১৪০ কিলোমিটার বোলিংয়ের মোকাবিলা এক কথা নয়।’
ডোমিঙ্গোর আশা, মানিয়ে নেয়ার পর আগামী মৌসুমটায় ভালো কিছুই করে দেখাবেন সাকিব। কোচের ভাষায়, ‘তার ধাতস্থ হতে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে কিছু সময়ের দরকার। তবে আমরা সবাই জানি সে একজন কোয়ালিটি প্লেয়ার। তাই ২০২১ মৌসুমটা বাংলাদেশের হয়ে তার দারুণ কাটবে বলেই আশা করছি।’